আমি হেঁটে আসছি দুর্বোধ্য সময় আর সভ্যতার এই নগরে। অনেকটা না আসা-অনেকখানি কষ্টের দানা আমার মধ্যে খয়েরি গোলাব অথচ সন্ধে হয় শহরে। অন্ধকার নেমে আসতে দেখা যায়না আকাশ, চিলতের মেঘটুকরো এমন কি নক্ষত্রপুঞ্জ মিছিলের আর্তনাদ, মুদ্রার ব্যবচ্ছেদ। শুরু হয় সিংহাসনে বসবার সমস্ত আয়োজন। মাটির ভাঁড়ারে গ্রহলগ্ন জল, সিগ্রেটের বিবর্ণ ধোঁয়া আসলে এখানে কোন রঙ নেই। না তাম্রপিঠ, না গৌঢ় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ভেজানো দরোজায় খিলান তক্তোপষের কঠিণ চোখ বিগড়ে আছে গ্লাণির বিষুধোষ্ণ চাঁদ।
দূরন্ত রেলপথ ধরে আসছিল যে আগন্তুক। তার কাঁধের সতরঞ্জি অথচ এর শালুরঙের আভা একটু আগেও ছিল সূর্যের- ঘড়ির কাঁটার ওপর নামিয়ে রাখা চোখ হাঁটে না সন্তর্পণে এপ্রোনে ঢাকা আকাশ মুখ খুলতে চায় না । বিবর্ণ পাখিদের চোখে হতভম্ব কাগজ দাঁড়িয়ে থাকে অনড় সংকোচনের প্রকাশ গোপন রাখতে-মাকড়ের গুঁটিয়ে থাকা অভ্যেস তৈরি হয় প্রবৃত্তি। অনভ্যস্ত কাক দুপুর ভাঙে শহরে- রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্র্যাফিক ইলিশ ছোঁয়ার ইচ্ছে-নির্লিপ্ত বাড়িয়ে দেয় হাত অন্ধকার গ্রহন করতে শশব্যস্ত রোদ দুপুরের পিঠে ছুটতে থাকা দূরন্ত ঘোড়া অথচ ঘরের শবযাত্রা নামিয়ে আনতে রাজপথে শকুনের আর্তনাদ প্রায়শঃ ভারি আকাশ চোখ খোলেনা- ছেঁড়া ছাতার ফুটোয় বৃষ্টির নিবৃত্তি দেখতে এই শহরে- রাজপুত্তুর, পুরোধাবর্গ- ভূর্জপত্র, দস্তাবেজ হাতে করে দাঁড়িয়েছিল সারিবদ্ধ আমি হেঁটে আসতে না নগরে, না জনপদে-প্রার্থনার প্রাগৈতিক কোন উচ্চারণ আমাকে টানেনি প্রকম্পিত ধবণি এবং তাদের যাপিত ভাষণ শুনতে অনেককালের ধারাপাত ছেড়ে আসলো আগন্তুক
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন)
অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে
(((দূরন্ত রেলপথ ধরে আসছিল যে আগন্তুক।
তার কাঁধের সতরঞ্জি অথচ এর শালুরঙের আভা একটু আগেও ছিল সূর্যের-
ঘড়ির কাঁটার ওপর নামিয়ে রাখা চোখ হাঁটে না সন্তর্পণে
এপ্রোনে ঢাকা আকাশ মুখ খুলতে চায় না ।))) এই লাইন গুলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।